ছবির ক্যাপশন: এআই
ডিজিটাল যুগে শিক্ষা এখন আর শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ২০২৫ সালে এসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো শুধু বিকল্প নয়, বরং মূলধারার শিক্ষার অংশ হয়ে উঠেছে। নিচে তুলে ধরা হলো এমন ৫টি শীর্ষ অনলাইন শিক্ষাবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো বিশ্বজুড়ে লাখো শিক্ষার্থীকে দক্ষতা, জ্ঞান ও সার্টিফিকেশন অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।
১.কোরসেরা
কোরসেরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে পরিচালিত একটি অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম। এখানে রয়েছে স্ট্যানফোর্ড, ইয়েল, গুগল, আইবিএমসহ নামকরা প্রতিষ্ঠানের কোর্স। ব্যবহারকারীরা ডিগ্রি, সার্টিফিকেট ও স্কিল-বেইসড কোর্সে অংশ নিতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স, বিজনেস, স্বাস্থ্যসেবা, ভাষা শিক্ষা সবকিছুই রয়েছে এক ছাদের নিচে।
২. ইউডেমি
ইউডেমি মূলত ব্যক্তিগত শিক্ষকদের তৈরি কোর্সের বিশাল ভাণ্ডার। এখানে রয়েছে ২ লাখের বেশি কোর্স, যার মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ভাষা শিক্ষা, ব্যক্তিত্ব উন্নয়নসহ নানা বিষয়। কোর্সের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম এবং সময় অনুযায়ী শেখার সুবিধা থাকায় এটি শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৩. ইডিএক্স
এমআইটি ও হাভার্ড এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত ইডিএক্স প্ল্যাটফর্মে রয়েছে উচ্চমানের একাডেমিক কোর্স, মাইক্রোডিগ্রি এবং প্রফেশনাল সার্টিফিকেট। যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা অনলাইনে নিতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ। কোর্সগুলো বিনামূল্যে নেওয়া গেলেও সার্টিফিকেটের জন্য নির্দিষ্ট ফি রয়েছে।
৪. খান একাডেমি
খান একাডেমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে। স্কুল পর্যায়ের গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ের ভিডিও লেকচার ও ইন্টার্যাকটিভ অনুশীলন রয়েছে। এটি বিশেষভাবে শিশু ও কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী, তবে বড়রাও এতে উপকৃত হন।
৫. স্কিলশেয়ার
স্কিলশেয়ার মূলত সৃজনশীল দক্ষতা শেখার প্ল্যাটফর্ম। এখানে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভিডিও এডিটিংসহ নানা বিষয়ের প্রজেক্ট-ভিত্তিক কোর্স। শিক্ষকেরা হাতে-কলমে শেখানোর পদ্ধতি অনুসরণ করেন, যা ব্যবহারকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মগুলো সময়, খরচ ও স্থানের সীমাবদ্ধতা দূর করে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার সুযোগকে আরও সমান ও সহজ করে তুলছে। বাংলাদেশেও এসব প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এখন ঘরে বসেই বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব।